চট্টগ্রাম: ‘একজন অসামান্য প্রতিভার অধিকারী শোভনময় ভট্টাচার্য তার স্বল্প সময়ের নাট্য জীবনে ৩৮টি নাটক রচনা করেছেন; যা অত্যন্ত কঠিন ও দূরহ একটি কাজ। তিনি অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন একজন মানুষ ছিলেন। তাই, তার নাটকে বার বার উঠে এসেছে বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জীবনগাঁথা, মুক্তির কথাও প্রতিবাদের কথা। জীবনঘনিষ্ঠ তার নাট্যরচনা দেশের নাট্যাঙ্গনের সম্পদ। তার নাট্যরচনাগুলো প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।’
কথক থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা, নাট্য আন্দোলনের স্বাপ্নিক পুরুষ, নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা শোভনময় ভট্টাচার্যের অষ্টাদশ প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কথক থিয়েটারের মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আয়োজিত শোভন নাট্য সন্ধ্যা ও শোভনময় ভট্টাচার্য স্মারক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি মিলনায়তনে কথক থিয়েটারের দল প্রধান উত্তম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের স্মৃতিকথা পর্বে অংশ নেন নাট্যজন শিশির দত্ত, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সভাপতি খালেদ হেলাল, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমন্ডলির সদস্য মোসলেম উদ্দীন সিকদার, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু,
প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ শাহ্ আলম সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জয় প্রকাশ চৌধুরী।
এ বছর নাট্যকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য কথক থিয়েটার প্রবর্তিত শোভনময় ভট্টাচার্য স্মারক সম্মাননা ২০২৩ গ্রহণ করেন নাট্যকার, নির্দেশক মিলন চৌধুরী এবং নাট্যকার, ডিজাইনার ও প্রকাশক জসীম উদ্দীন।
সম্মাননাপ্রাপ্ত নাট্যজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘একজন নিবেদিত প্রাণ মেধাবী নাট্যজন শোভনময় ভট্টাচার্যের নামে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করে গৌরবান্বিত। সদা প্রাণবন্ত এ নাট্য স্বজন বাংলাদেশের নাটকের জন্য অকৃত্রিমভাবে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ও কথক থিয়েটার এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
অনুষ্ঠানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব অরিয়েন্টাল ড্যান্স, নরেন আবৃত্তি একাডেমি পরিবেশন করে শোভনময় ভট্টাচার্য রচিত ও নির্দেশিত কাব্য পালা অমাবস্যা ও কথক থিয়েটার পরিবেশন করে শিবলু চৌধুরীর নাট্যরূপকৃত ও শোভনময় ভট্টাচার্য নির্দেশিত অস্পৃশ্য নাটকের অংশ বিশেষ। সম্মাননা প্রাপ্ত নাট্যজনদের পরিচিতি পাঠকরেন নাট্যকর্মী নিলয় মোহাম্মদ ও অরোরা দেবী।