ঢাকা: শ্রমআইন লঙ্ঘনের দায়ে দন্ডিত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ আউয়াল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলমখান।
শ্রমআইন লঙ্ঘনের মামলায় ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চান। ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেন।
শ্রমআইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে গেল ১ জানুয়ারি ছয় মাস করে বিনাশ্রম জেল দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া, প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আপিল শর্তে ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গেল ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গেল ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গেল ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘শ্রমআইন ২০০৬ ও শ্রমবিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।’
শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গেল ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আপিল শুনানির জন্য নেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।