শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শ্রীলংকার কাছে ৩২৮ রানের লজ্জার হার বাংলাদেশের

সোমবার, মার্চ ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সিলেট: সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী শ্রীলংকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই সোমবার (২৫ মার্চ) লংকানদের কাছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে টাইগারদের। শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে মোমিনুল হকে লড়াকু ৮৭ রানের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮২ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ম্যাচের দুই ইনিংসে শ্রীলংকা যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল।

এ নিয়ে সপ্তম বার ৩০০’র বেশি রানের ব্যবধানে টেস্ট ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। রান বিবেচনায় শ্রীলংকা কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের লজ্জা পেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে রান বিবেচনায় এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় শ্রীলংকার। প্রথমটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে, ৪৬৫ রানে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৃতীয় দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। মোমিনুল হক সাত ও তাইজুল ইসলাম ছয় রানে অপরাজিত ছিলেন। জয়ের জন্য তিন উইকেট হাতে নিয়ে আরো ৩৮২ রান করতে হত টাইগারদের।

সোমবার (২৫ মার্চ) চতুর্থ দিনের তৃতীয় ওভারেই শ্রীলংকান পেসার কাসুন রাজিথার শিকার হয়ে ছয় রানেই থেমে যান তাইজুল। দলীয় ৫১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর ক্রিজে মোমিনুলের সাথী হন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করতে শ্রীলংকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মোমিনুল ও মিরাজ। তাদের লড়াইয়ে দলীয় ১০০ রান স্পর্শ করে টাইগাররা।
দলীয় ১১৭ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে রাজিথার বলে আউট হন ছয়টি চারে ৩৩ রান করা মিরাজ। মোমিনুলের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেন মিরাজ। এরপর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মোমিনুল। মিরাজের মত শরিফুলের সঙ্গে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ার পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু, সেটি হতে দেননি রাজিথা। ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ১২ রান করা শরিফুলকে শিকার করেন তিনি। শরিফুলের বিদায়ে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার খালেদ আহমেদকে পরের ডেলিভারিতে আউট করে ইনিংসে পাঁচ শিকার পূর্ণ করেন রাজিথা।

১৬৪ রানে যখন বাংলাদেশের যখন নবম উইকেট পতন হয়, তখন ৬৯ রানে ব্যাট করছিলেন মোমিনুল। শেষ ব্যাটার নাহিদ রানাকে নিয়ে শ্রীলংকার বোলারদের উপর চড়াও হন মোমিনুল। স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার করা ৪৭তম ওভারের শেষ তিন বলে দুইটি চার ও একটি ছক্কা মেরে ৯০এর ঘরের কাছাকাছি পৌঁছে যান মোমিনুল।
৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানাকে শিকার করে বাংলাদেশের ইনিংস ১৮২ রানে থামিয়ে দেন পেসার লাহিরু কুমারা। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে থেকে মাঠ ছাড়েন মোমিনুল। ১২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৪৮ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শ্রীলংকার রাজিথা ৫৬ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। এছাড়া, বিশ্ব ফার্নান্দো তিনটি ও কুমারা দুইটি উইকেট নেন।

এ হারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে নেমে গেল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই হারে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ পয়েন্ট আছে টাইগারদের। টেবিলে বাংলাদেশের মত একই অবস্থা থাকলেও ষষ্ঠ স্থানে উঠল শ্রীলংকা।

আগামী ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।