ঢাকা: শনিবার (৬ জুলাই) ঢাকার কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের মূল্য ১১০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহ পূর্বে ছিল ৯০-৯৭ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দেশি জাতের পেঁয়াজের প্রধান উৎস ফরিদপুর ও পাবনা থেকে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে মূল্য বেড়েছে।’
শনিবার (৬ জুলাই) প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯৭-১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, ‘সরবরাহ সংকটের কারণে গেল সপ্তাহে সব ধরনের দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি, যেখানে মূল্য বেশি।’
আমদানি শুল্ক, পরিবহন ও অন্যান্য ব্যয় হিসাব করলে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য দাঁড়ায় ৯০-৯৫ টাকা। ফলে, আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্যও এখন বেশি বলে জানান মোহাম্মদ মাজেদ।
তিনি বলেন, ‘আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি।’
আলাপকালে মালিবাগ, কারওয়ার বাজার ও হাতিরপুল বাজারের কয়েকজন ক্রেতা কাঁচাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘রাতারাতি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি আমাদের বিস্মিত করেছে। এভাবে মাংস ও সবজিসহ সব জিনিসপত্রের মূল্য বাড়তে থাকলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ কী করবে!’
রাজারবাগ এলাকার গৃহকর্মী হাজেরা আক্তার বলেন, ‘কাঁচাবাজারে সবকিছুর মূল্য বেশি। এখন আমরা পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মনে করি না। বেশিরভাগ সময় এটি ছাড়াই রান্না করার চেষ্টা করি।’
প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গেল ৪ মে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর ১৪ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
গেল বছরের ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। গেল ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল।