শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

সমন্বয়ের কথা বলে প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে সরকার

রবিবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলার শাখার উদ্যোগে গ্রাহক পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ সিটির সিনেমা প্যালেস চত্বরে রোববার (১৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক কমরেড আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি কমরেড অশোক সাহা, সদস্য কমরেড উত্তম চৌধুরী, বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সদস্য জাহেদুন্নবী কনক।

বাসদ চট্টগ্রাম জেলা সদস্য আকরাম হোসেনর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা সদস্য আহমেদ জসীম, বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব কমরেড শফিউদ্দিন কবির আবিদ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সরকার জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করে জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করেছে। করোনার সময় থেকে জনগণের ওপর বাড়তি মূল্যের বোঝা চাপিয়ে চলেছে সরকার। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জ্বালানী তেলের দাম ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে জনগণের দুর্ভোগ চরমে তুলেছে। এর পর থেকেই ব্যবসায়ীরা ধারাবাহিকভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়িয়েছে, সরাকারের পক্ষ থেকে কোন রকম বাধা ছাড়াই। এক দিকে দেশের শ্রমিক শ্রেণির আয় কমেছে, অন্য দিকে আইএমএফসহ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থাগুলোর শর্ত মেনে দেশের সব সেবা খাতে প্রনোদনার হার কমিয়েছে। ফলে মূল্য বৃদ্ধির বোঝা জনগণকে বহন করতে হচ্ছে।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে জনগনের অর্থ দিয়ে অলস বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জও বহন করতে হচ্ছে।’

বক্তরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘জনগণ উন্নয়নের গল্প শোনে, কিন্তু এ উন্নয়ন জনগণের কোন কাজে আসছে না। সরকার উন্নয়নের ফাকা বুলি দিনশেষে জনগণের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। গত ১৪ বছরে ১৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে প্রতিমাসে দাম সমন্বয়ের কথা। মূলত দাম সমন্বয়ের কথা বলে প্রতিমাসে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে।’

বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করে এবং রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্রের নামে লুটপাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ কমানোর দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল সিটির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লালদীঘি চত্বরে এসে শেষ হয়।