সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সয়াবিন তেলের মূল্য লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সয়াবিন তেলের মূল্য কমানোর মাত্র এক মাসের মাথায় ফের বাড়াতে চান ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। এ দফায় লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর গত বুধবার পাঠানো এক চিঠিতে দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সংগঠনটি বলেছে, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক অবমূল্যায়ণের বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত তেলের লিটারে ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলে ১৭ টাকা কমিয়েছিলো ব্যবসায়ীরা। সেই দাম অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৫৮ টাকায়। একইভাবে পাঁচ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৯৩, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৫৫ ও খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটার ১৭৩ টাকায় দাঁড়াবে।

তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত স্বিদ্ধান্ত নেয় নি সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও এ বিষয়টির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। এ মূহূর্তে দাম বাড়নো যৌক্তিক কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হবে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গণ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিয়েছে। তবে দাম বাড়ানো উচিত কিনা বা বাড়ালেও কতটুকু বাড়ানো যেতে পারে, সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি।’

এ দিকে, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার পর বাজারে ডিলার পর্যায়ে কিছুটা বেশি মূল্যে তেল বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা পাঁচ লিটারের প্রতিটি কার্টনে ১০০ টাকা করে বেশি দাম নিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতি কার্টনে পাঁচ লিটারের চারটি বোতল থাকে। সেই হিসাবে লিটারে পাঁচ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে।

চকবাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, সরকার ঘোষণা দেয়ার আগেই বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) থেকে ডিলাররা তেলের দাম বেশি নেয়া শুরু করেছে। বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়ে গেছে বাজারে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ড্রাম (২০৪ লিটার) সয়াবিন ও পাম তেলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে।

একজন বিক্রয়কর্মী জানান, ভোজ্যতেলের কোম্পানিগুলো দাম বাড়াবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। তেল না দিয়ে তারা এখন বেশি দামের তেলের জন্য অর্ডার নিচ্ছে।

এ দিকে, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহে কোন ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় নি। বোতলজাত ও খোলা উভয় ধরনের তেলের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে।