রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

সরকারের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্পনাবিলাসী অবাস্তব বাজেট

শুক্রবার, জুন ২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন খাতে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যার সবটাই ঋণ নির্ভর হওয়ার তীব্র সমালোচনা করে নতুনধারা বাংলাদেশের (এনডিবি) চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে সরকারের কাছে রক্তচোষার নয়, অর্থনৈতিক মুক্তির বাজেট চাই জনতার পক্ষ থেকে।’

বৃহস্পতিবার (১ জুন) নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার প্রশিক্ষণ কাউন্সিল ও বাজেট প্রতিক্রিয়া আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোমিন মেহেদী আরো বলেন, ‘আজ জাতীয় সংসদে অর্থ মন্ত্রী ২০২৩-২৪ সালের যে বাজেট পেশ করেছেন, তা তার মত কৃষক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ‘আলাদিনের চেরাগ’ পাওয়া ব্যক্তিতের জন্য উপযোগী। যে কারণে এ বাজেটে সাধারণ মানুষের রক্তচোষার লক্ষ্যে করারোপকরা হয়েছে, একই সাথে কালোটাকা উদ্ধার, টাকা পাচার রোধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন পরিকল্পনা নেই। বাজেটের উন্নয়ন খাত সরকারের লুটপাটের বড় ক্ষেত্র। আর রাজস্ব খাতে যে পাঁচ লাখ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে, তার সবটাই ব্যয় হবে বেতন ভাতা বাবদ। শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি ধরলে বরং বরাদ্দ কমেছে। বাজেটে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশের উপর মূল্যস্ফীতির কথা বলা হলেও তা নিয়ন্ত্রণের কোন দিকনির্দেশনা নেই। এতে করে গরীব নিম্ন আয়ের মানুষ আরো উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে। নানাভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর নতুনভাবে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা অপরাধের পর্যায়ে পরে।’

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আয় কোন ভাবেই পাঁচ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। আর উন্নয়ন খাতে ব্যাংক ও বিদেশি ঋণ যেমন আমাদের ব্যাংক খাতকে ডোবাবে, তেমনি বিদেশি ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে দেশ দেউলিয়া হবে। সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় কোন দিকনির্দেশনা নেই, নেই মৌলিক শিল্প খাতেও। এক কথায় বলা যায়, এটা সরকারের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কল্পনাবিলাসী অবাস্তব বাজেট। এ বাজেট জাতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে আর জনগণের জীবনকে করবে আরো দূর্বিষহ।’

ফতুল্লার অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আয়োজনে বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর সমন্বয়ক নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, মো. জীবন, মো. দানেশ, আল আমিন বৈরাগী, মামুন রায়হান।