চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘সরকারের চোখ এখন মানুষের পকেটের দিকে। পকেটমাররা যেভাবে মানুষের পকেট থেকে টাকা মেরে দেয়, সরকারও সেভাবে মানুষের পকেট মারছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষকে লাথি মারতে মারতে একদম নিঃস্ব করে দিয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম কয়েক বার বাড়ানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো দায়িত্ব নেই বলেই তারা এ কাজগুলো করতে পারে। কারণ, তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। এ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। এতে মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিবাদ মিছিলে চট্টগ্রামবাসীকে অংশ নেয়ার আহবান জানান।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) বিকালে সিটির কাজীর দেউড়ীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী সোমবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্ততি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনজীবনে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে, সেই সময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনে মরাার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আঘাত করল। এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের দৈনিন্দন জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য আরো বেড়ে যাবে। কোন মতেই জনগণের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হবেনা। এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ।’
তিনি অবিলম্বে বিদ্যতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মূল্যে ফিরে যাওয়ার দাবি জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিদ্যুতের এ দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। গাড়ি ভাড়া ও বাড়ি ভাড়াসহ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে লাগামহীনভাবে। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এ ধরনের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেত না। গরীব অসহায় মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। যেন সরকারের কোন দায় নেই।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আলী, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, বাবুল হক, মো. আজম, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, নুরুল আবছার, এমআই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, বাদশা মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম সরকার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমীন জিসান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, মো. ইলিয়াছ, জমির আহমদ, মন্জুর আলম মন্জু, ইলিয়াছ চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মো. ইলিয়াছ, মসিয়ুল আলম স্বপন, মো. বেলাল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, মো. আসলাম, শরিফুল ইসলাম, মো. মহসিন, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী।