শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সাঁতারে বাংলাদেশের কিশোরী মাহিমার জার্মানির বার্লিন জয়

রবিবার, জুলাই ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মাহিমা আক্তার দলগতভাবে সাঁতার প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল জয় করে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। গেল ১২-২৮ জুন পর্যন্ত জার্মানীর রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত ‘সামার অলিম্পিক গেমস-২০২৩” এ বিশ্বের ১৭০টি দেশের প্রতিযোগীদের সাথে বিভিন্ন ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরাও অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে সামার অলিম্পিকে সাঁতার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী দলে চারজন ছেলে ও চারজন মেয়ে অংশ নিয়েছেন। দলগত চার দশমিক ২৫ ফ্রি স্টাইল রিলেতে মেয়েদের দল চারটি গোল্ড মেডেল ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক বাংলাদেশের পক্ষে অর্জন করেছেন। দলগত চ্যাম্পিয়নে মাহিমা আক্তার একটি গোল্ড মেডেল ও ১০০ ইউরো পুরস্কার পেয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলার বুলিং রুজেস বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মাহিমা আক্তার (১৫) বানিয়াচং উপজেলার তিন নম্বর দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের প্রবাসী শাহজাহান মিয়া ও গৃহিনী সেলিনা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান। ২০২২ সালে বিশেষ অলিম্পিকের জন্য কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় মাহিমা আক্তার বাছাই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। মাহিমা আক্তার বানিয়াচং জাতুকর্ণপাড়া সরকারি বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। তার বাবার বাড়ী জাতুকর্ণপাড়া গ্রামে হলেও মাহিমা বর্তমানে মৌলভীবাজারে তার নানার বাড়ীতে থেকে বিশেষ শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে।

এ বিষয়ে মাহিমার মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে আমি কখনই মন খারাপ করি নাই। সে যাই হোক, সে আমার মেয়ে। বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসায় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। আপনারা সকলে আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।’

এ প্রসঙ্গে জাতুকর্ণপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাহিমা আমাদের বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পুরো দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনায় আমরা শিক্ষকরা মাহিমার জন্য গর্ব অনুভব করছি।’

এ নিয়ে স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ হেড কোচ (সুইমিং) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জার্মানীর বার্লিনে অনুষ্ঠিত সামার অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের এ বিশেষ সাঁতার দলের পক্ষে মেয়েরা দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোচ হিসেবে আমি অবশ্যই প্রাউড ফিল করি। এ অর্জনে বাংলাদেশের মুখ বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হয়েছে।’