সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

সালমান, আনিসুল ও মানিকসহ নয়জন দুই দিনের রিমান্ডে

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার দুই থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ নয়জনকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জিএম ফারহান ইসতিয়াক এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী।

বাড্ডা থানার অটোরিকশা চালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় রিমান্ডে যাওয়ারা হলেন সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু।

আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাস হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম ও কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক আদেশ দেন।

বাড্ডা থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ২০ জুলাই বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন অটোরিকশা চালক হাফিজুল শিকদার। ওইদিন বিকেল ৩টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।’

এ ঘটনায় তার পরিবার গত ২১ অগাস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।

শিক্ষার্থী অনিক হত্যাচেষ্টার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে ঢাকার আদালত এলাকায় এলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অতর্কিত গুলিতে আহত হন অনিক। তাকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ৩১ জুলাই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর কোতোয়ালী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন অনিক।

 

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে বাসচাপায় ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত

ঢাকা ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. বাচ্চু মিয়া (৩৭) ও মানিক (৩৯) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার মুন্সিবাজার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাচ্চু মিয়া ঢাকার পশ্চিম ভাসানটেক এলাকার মৃত হাসেম খাঁর ছেলে ও মানিক ঢাকার কাঁচপুর এলাকার মান্নান বেপারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোররাতে একটি পিকআপ নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হন বাচ্চু ও মানিক। পিকআপটি মুন্সিবাজার নামক স্থানে আসলে অজ্ঞাত গাড়ি পিছন থেকে তাদের ধাক্কা দিলে পিকআপ রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মো. বাচ্চু মারা যায়। খবর পেয়ে ভোর ৬টার দিকে শিবচর হাইওয়ে থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে মানিক নামে আরও একজনকে মৃত্যু হয়।

ধারণা করা হচ্ছে রাতে তারা দক্ষিণবঙ্গের কোন এলাকায় থেকে পিকআপ নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। কুয়াশার কারণে পিছন থেকে কোন গাড়ি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিবচর হাইওয়ে থানার উপসহকারী পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ১ জনকে মৃত অবস্থা উদ্ধার করি। আরেকজনকে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি দুটি আমাদের থানায় রয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম মাহিন বলেন, ভোর ৬টার দিকে প্রথমে একজন রোগীকে আনা হয় তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করি। পরে ১ ঘণ্টা পরে আরেকজনকে মৃত অবস্থা হাসপাতালে আনা হয়।