ঢাকা: সম্প্রতি ‘সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট ২০২২’ প্রকাশ করেছে মেটলাইফ। রিপোর্টটিতে উদ্দেশ্যর সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নির্মাণে অবদান রেখে চলেছে এবং গ্রাহক, কর্মী, সমাজ ও অংশীদারদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে- সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে নেয়া নানা দৃষ্ঠান্তমূলক সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশে নেয়া নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে।
মেটলাইফের কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন; যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস- এসডিজি) অনুসরণে নির্ধারিত। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে মেটলাইফ সারা বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ব্যাপারে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, “সুরক্ষিত পরিবার, ব্যবসায় ও সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের প্রতিশ্রুতিই আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতিফলন – আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী ভবিষ্যৎ নির্মাণে সব সময় আপনার পাশে – আর এ বিষয়টিই আমাদের ব্যাপকভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি আর পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেটলাইফ প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাচ্ছে।’
ক্রমপরিবর্তনশীল বিশ্বের চাহিদা পূরণ করা এবং ২০৩০ ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (ডিইআই) প্রতিশ্রুতি ও পরিবেশের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই মেটলাইফের লক্ষ্য। এসব লক্ষ্য পূরণে মেটলাইফের অগ্রগতি ও ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রচেষ্টার চিত্র এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে: ২০২২ সালে মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সক্ষমতা ও ‘রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে ৩৭ দশমিক নয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হয়েছে; ২০১৯ সাল থেকে ৪৯ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ ও সবুজ পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে আট লাখেরও বেশি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রথম বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে কার্বন নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে মেটলাইফ; ২০২২ এর বছর শেষের হিসাব অনুযায়ী, ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দায়িত্বশীল বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে মেটলাইফ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট; ২০২২ সালে ডিইআই (ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন) খাতে ৮৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিশ্রুত এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে; গ্রাহকদের মানসিক, শারীরিক, আর্থিক ও সামাজিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ২০২২ সালে এশিয়া জুড়ে ৩৬০হেলথ অ্যাপের সেবার সম্পরসারণ করা হয়েছে; সহকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ওপর ভিত্তি করে আটটি বাজারে সেরা কর্মস্থলের স্বীকৃতি পেয়েছে মেটলাইফ; ২০২২ সালে এক লাখ নয় হাজার ঘণ্টারও বেশি স্বেচ্ছাসেবাদান (ভলান্টিয়ার আওয়ার্স) করেছে মেটলাইফ, ২০৩০ সালের মধ্যে যা আট লাখে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট ২০২২’টি পড়তে ও মেটলাইফের টেকসই উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন www.metlife.com/sustainability/