মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সিরাকিউস সিটির মেয়র ওয়ালসের সাথে কনসাল জেনারেল মনিরুলের বৈঠক

শুক্রবার, জুলাই ৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

সিরাকিউস, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: সিরাকিউস সিটির মেয়র বেন ওয়ালসের সাথে তার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বৈঠকে তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে উভয়ই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর ও সম্প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন।

অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে অভিহিত করে মনিরুল ইসলাম মেয়রকে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানী বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব দেন।

কনসাল জেনারেল বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিনিয়োগ বান্ধব নীতি ও পদক্ষেপগুলোর বর্ণনা করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব গন্তব্য বলে আখ্যায়িত করেন। সরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এর প্রাপ্ত সুবিধাগুলোর বর্ণনা দিয়ে মনিরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে আরো গভীরভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দাওয়াত দেন। এ ক্ষেত্রে, তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, ভৌত অবকাঠামো ও লজিস্টিক খাতগুলোর কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন।

প্রসঙ্গক্রমে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের মেধা, মনন, উদ্যম ও সৃজনশীলতা তুলে ধরে মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা শুধুমাত্রই দুই দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন না, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বুঝাপোড়াকে সহজ সরল ও সাবলীল করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সিরাকিউসে পরিচিত ও প্রসারিত করতে উভয়ই সুবিধাজনক সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্ল্যাগ রেইজিং অনুষ্ঠান করতে সম্মত হন। মেয়র ওয়ালস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা ও অর্জনের প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরো বিস্ত‍ৃত করার অপার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন বলে কনসাল জেনারেলকে আশ্বস্ত করেন।

আগামী দিনগুলিতে মেয়র অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা আরো কার্যকরী ও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।