ঢাকা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। সে জন্যই ভিসানীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দিয়েছে।’
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গেল ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোন বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।’
বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ নিয়ে নতুন যে ভিসানীতি করেছে, তা নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। শুরুতেই তিনি বলেছিলেন যে, ‘কাউকে উদ্দেশ্য করে এ ভিসানীতি করা হয়নি। নির্বাচন যাতে সুন্দর হয়, তা নিশ্চিত করতেই এ নীতি করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, ভিসা যার যার দেশের একটি নিজস্ব বিষয়। সেই দেশে কাকে ঢুকতে দেবেন, কাকে দেবেন না, সেটি সেই দেশই জানেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। ভিসা সম্পর্কে তারা যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে কিছু বলার নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও বিশ্বাস করি, একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। কোন ষড়যন্ত্র না, কোন রকমের মাসলসম্যানের অভ্যুত্থান না, কিংবা বন্দুকের নল না, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই একটি নির্বাচন হোক, আমরাও সেটি চাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করি। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি দিয়েছে, সেটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। পাশাপাশি আমরা যে একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চাই, তাতে যে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনায় রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয়টি এসেছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘হঠাৎ করে কেন তার সড়ক নিরাপত্তা তুলে নেয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা সিস্টেমটি পরিবর্তন করেছি। আজ পিটার হাসকে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছি। আমরা কূটনৈতিক পাড়ায় কোন ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি হতে দেব না। কূটনৈতিকপাড়া ও তাদের চলাচল যাতে নিরাপদ থাকে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
আনসার রেজিমেন্টের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটি তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা কিছু সময় চেয়েছেন। কিন্তু, আমরা যাদের মাধ্যমে এ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব, তারা সুপ্রশিক্ষিত। কাজেই তাদের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রদূতরা নির্বিঘ্নে থাকতে পারবেন।’