নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ ও ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে মিয়ানমার জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং এবং গৃহবন্দি ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আর্জেন্টিনার একটি আদালত। তবে এ পরোয়ানার সমালোচনা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। সংবাদ আরব নিউজের।
চলতি সপ্তাহে আর্জেন্টিনার একটি আদালত মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং, সাবেক প্রেসিডেন্ট হতিন কিয়াও ও সাবেক নির্বাচিত বেসামরিক নেতা অং সান সু চিসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
রায়টি একটি রোহিঙ্গা অ্যাডভোকেসি গ্রুপের আর্জেন্টিনায় দায়ের করা একটি মামলায় দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা কি মিয়ানমারকে চেনে? মিয়ানমার সরকার আর্জেন্টিনাকে চেনে?’
তিনি শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে পরামর্শ দিতে চাই যে, তারা যদি আইন অনুসারে মিয়ানমারের সমালোচনা করতে চায় তাহলে আগে তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বিচার বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় এবং শূন্য পদগুলোতে প্রথমে বিচারক নিয়োগ করুক।’
জ মিন তুনের মন্তব্যটি ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে করা হয়েছে। কেননা, বুয়েনস আয়ার্সের বিচার বিভাগের সব স্তরের জন্য ১৫০ জন বিচারক প্রয়োজন বলে সেসময় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
গ্রেফতারি পরোয়ানায় অং সান সু চিকে ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতা হিসেবে তার ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছিল। সমালোচকরা তাকে সেই সময় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে খুব কম কাজ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তদন্ত করছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।