বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা/কঙ্গোতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিকসহ ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কিনসাসা, কঙ্গো: আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) অভ্যুত্থান চেষ্টার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির একটি সামরিক আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।

বিচারিক প্রক্রিয়া টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রধান বিচারক ফ্রেডি এহুম রায়ে বলেন, ‘আদালত কঠোরতম সাজা ঘোষণা করছে; এ মৃত্যুদণ্ড অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার জন্য, হামলার জন্য ও সন্ত্রাসবাদের জন্য।’

যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিক ছাড়াও আসামিদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ, একজন বেলজিয়ান ও এক কানাডীয়ও রয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়েছে। বিচারে ১৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

ছয় বিদেশি নাগরিকের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন রিচার্ড বন্ডো। তিনি সংবাদ সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘কঙ্গোতে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে কি না তা নিয়ে বিতর্ক করেছেন তিনি ও বলেছেন যে, মামলার তদন্তের সময় তার মক্কেলদের পর্যাপ্ত দোভাষী ছিল না। আপিল আদালতে এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করবেন তিনি।’

গেল ১৯ মে কঙ্গোয় অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়। এক দল সশস্ত্র ব্যক্তি রাজধানী কিনসাসায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট কার্যালয় স্বল্প সময়ের জন্য দখল করে নেয়। এ গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কঙ্গোলিজ রাজনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার অনুসারী ছিল। এ ঘটনার অল্প সময় পরই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন মালাঙ্গা। ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে দুই নিরাপত্তারক্ষীও নিহত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের যে তিন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, তাদের একজন হলেন ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মারসেল মালাঙ্গা ও তার বন্ধু টেইলর থম্পসন। তাদের দুইজনেরই বয়স ২০ বছরে কিছু বেশি। এ দুইজনই যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ অঙ্গরাজ্যে একসাথে বড় হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নাগরিক হলেন বেঞ্জামিন জালমান-পলুন। তিনি ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার ব্যবসায়িক সহযোগী ছিলেন।

মারসেল মালাঙ্গা আদালতকে বলেছিলেন, ‘তিনি এ অভ্যুত্থানে অংশ না নিতে চাইলে তার পিতা তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন।’ তিনি আদালতকে আরো বলেন, ‘তিনি তার পিতাকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেখেননি ও এটিই তার প্রথম কঙ্গো সফর ছিল।’

এ রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘কঙ্গোতে যুক্তরাষ্ট্রেওর দূতাবাসের কর্মীরা এ বিচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং তারা ঘনিষ্ঠভাবে স্থানীয় ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখবেন।’

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানান তিনি। বলেন, ‘আমরা জানি যে, কঙ্গোর আইন আসামিদের আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়।’