বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সেন্ট মার্টিনের মানুষ মারা যাবে!

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

কক্সবাজার: সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপনে অনুমতির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে অসংখ্য মানুষ।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার সিটির কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থবির হয়ে পড়েছিল গোটা সিটি।

কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে সড়ক অবরোধ করতে আসা কামাল হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছি। এখন কাফনের কাপড় পরে একেবারে মরতে এসেছি।’

সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে অংশ নিতে দেখা গেছে।

সকাল (১৯ নভেম্বর) থেকে দ্বীপের বাসিন্দাসহ পর্যটনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা লাবনী পয়েন্টে জড়ো হয়। সেখান থেকে দুপুরে মিছিল নিয়ে কলাতলী পয়েন্টে যায় তারা। এরপর ডলফিন মোড়ে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে রাস্তার ওপর শুয়ে পড়েন কয়েক শত নারী ও পুরুষ। মিছিল ও অবরোধের অগ্রভাগে বেশ কয়েকজনকে কাফনের কাপড় পরে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ দিকে, আন্দোলনের কারণে চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা। মেরিন ড্রাইভসহ পর্যটন সিটির পুরো সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, ‘সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা নিয়েছেন, সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মত পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এ ছাড়া টেকনাফ থেকে চালু করা হোক জাহাজ। তা না হলে আমাদের সেন্টমার্টিনের মানুষ মারা যাবে।’

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘পরিবেশের প্রতি আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা চাই পরিবেশ ঠিক রেখে পর্যটনকে বাঁচিয়ে রাখতে।’

পর্যটন মৌসুম বাদ দিয়ে গোটা বছর উন্নতমানের নৌযান ব্যবস্থা করে পর্যটকের চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকের চাপ কমবে বলে মত তার।

দ্বীপের জনসাধারণের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য কথা বলতে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান কক্সবাজার জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।