বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধার সম্ভব

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হচ্ছে আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’

নাবিকদের সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিকদের উদ্ধার কোন ছোট ঘটনা নয়, বহু বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’

ঈদুল ফিতরের পূর্বে নাবিকদের যেন দেশে আনতে পারি- সে লক্ষ্যে কাজ চলছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কিন্তু, সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি, সেটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, আমাদের নৌপরিবহন অধিদফতর আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজ-খবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাথে নাবিকদের যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদফতরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভাল আছেন। ব্যাপারটি অল্প কিছু দিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সাথে আচরণটা কীভাবে হয়, এ ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারব না যে, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সাথে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। এর পূর্বে, ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ আটকে গেল, তখনো এ ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করা হয়েছিল। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ঠ তৎপর ছিলেন। তার সহায়তায় আমরা সেটির দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি।’

এ দিকে, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঘরফেরা মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নৌপথে চাপ থাকলেও কোন ভোগান্তি নেই। ঈদ যাত্রার জন্য সবাই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কারণ, তিনি মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির (বহুমুখী সংযোগ) কথা ১৯৯৬ সালে প্রথম বলেছিলেন। বাংলাদেশের তিনি এ বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছেন। ‘আকাশপথ, রেলপথ ও সড়কপথ যা দেখেন, যে পরিমাণ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে- তা শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে দূরে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। মূল ভূখন্ডের সাথে দক্ষিণাঞ্চলকে যুক্ত করেছে পদ্মাসেতু।’

মজু চৌধুরী ঘাটের আজকের চিত্রের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে অতিরিক্ত চাপ ছিল, কিন্তু ভোগান্তি ছিল না। যাদের ভোগান্তির কথা বলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবেন, এটিই ঈদের আনন্দ। এখন কোনটা আমি ধরব বলেন? ‘আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতেই পারি। কারণ, আমরা মানব কাঠামোর উন্নয়নে এখনো ওই জায়গায় যেতে পারিনি।’