বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছা

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুভেচ্ছা বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘প্রিয় প্রধান উপদেষ্টা: আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পরিবর্তিত এই সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির সক্ষমতা তৈরির সুযোগ এনে দিয়েছে।’

আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে উন্মুখ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারব।’

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, ‘এবারের স্বাধীনতা দিবস এমন এক সময়ে উদযাপিত হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে এমন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে, যা জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের সুযোগ দেবে। বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

মার্কো রুবিও আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছি।’

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আমাদের উভয় দেশকে আরও নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।

আরো পড়ুন

ঢাকা: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ পরবর্তী বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। পরবর্তী সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। সারাদেশে আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।