রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

স্বাস্থ্য/মিনি স্ট্রোকের সংকেত ও করণীয়

সোমবার, জুন ২৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক: পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের তুলনায় কম শঙ্কাপূর্ণ স্ট্রোক হলে মিনি স্ট্রোক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মিনি স্ট্রোকের রোগীর পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি।’

বর্তমান সময়ের জীবন যাপনে যে রোগগুলোর শঙ্কা সবচেয়ে বেশি বেড়ে গেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্ট্রোক। আচমকা মৃত্যুর পিছনেও স্ট্রোকের কারণ অনেকটাই দায়ী। তাই, সাবধানতা অবলম্বনে জানা প্রয়োজন মিনি স্ট্রোকের উপসর্গের ব্যাপারে।

বহু সময়েই স্ট্রোক হলে প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই, কখনো যদি স্ট্রোকের কোন রকম সংকেত টের পাওয়া যায়, দ্রুত কারো সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দেয়া উচিত।

চিকিৎসা শাস্ত্রে, মিনি স্ট্রোককে ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) বলা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রুদ্রজিৎ পাল বলছেন, ‘এ অবস্থায় রোগীর মধ্যে যে উপসর্গগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হল-

উপসর্গ: কিছুক্ষণের জন্য হাত বা পা অবশ হয়ে যাওয়া; কথা জড়িয়ে যাওয়া; চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা; তীব্র মাথা ব্যথা; দুর্বল অনুভব করা; চেতনা হারিয়ে ফেলা; হাঁটতে সমস্যা হওয়া; কাউকে চিনতে না পারা প্রভূতি।

স্ট্রোকের সংকেত ও করণীয়: মিনি স্ট্রোকের কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি, অল্প পরিসরে রক্ত জমাট বেঁধে ফের সচল হওয়া প্রভূতি। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরলের সমস্যা, ধূমপানের অভ্যাস, হৃদরোগ প্রভূতি কারণে মিনি স্ট্রোক হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিনি স্ট্রোক আক্রান্তের এক ঘন্টার মধ্যে রোগী সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তবে, বহু রোগীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এ কারণে মিনি স্ট্রোক বা ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক ( টিআইএ) নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘মিনি স্ট্রোককেও গুরুত্ব দিতে হবে। আক্রান্ত হলেই লাইফস্টাইলে নিয়ন্ত্রণ ও জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।’ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি লবণ, চিনি, চর্বি ও তেলযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। ধূমপানে আসক্তি থাকলে তা এড়িয়ে চলতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।