চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদি সীমান্তে গেল ১৬ ডিসেম্বর রাতে দুই বাংলাদেশিকে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ১৫ দিন পর ওই দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারত।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে বারাদি সীমান্ত মেইন পিলার ৮২/২৪ এর পাশে বিএসএফ-বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩২)।
গেল ১৬ ডিসেম্বর রাতে সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন বারাদি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিহতের লাশ নেয়নি বিজিবি। টানা ১৫ দিন পর শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। সন্ধ্যার পর দুজনের লাশ গ্রামের বাড়ি ছয়ঘরিতে নেয়া হয়।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘টানা ১৫ দিন পর বিএসএফের গুলিতে নিহত দুজনের লাশ হস্তান্তর করেছে ভারত প্রশাসন। মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’