/ 
প্রিন্ট করুন
লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউড ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’, যেটি মূলত নির্মিত হয়েছে সাত বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে। এক দল হ্যাকার কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় এবং হ্যাকারদের আরো বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়া থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষা পায়, সেই অবিশ্বাস্য গল্পই এবার উঠে এসেছে আসবে পর্দায়। খবর দ্যা ভার্জের।
ড্যানিয়েল গর্ডনের নির্মিত আসন্ন ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ ডকুমেন্টারিটি মনে করিয়ে দেয় ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা কতটা বাস্তব ছিল। পুরো বিশ্বকে নাড়া দেয়া এ ঘটনার পর বিশ্বের সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা কী পরিমাণ সতর্ক হয়ে উঠেছিলেন; তারও একটা উদাহরণ এটি।
তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনা ঘটে ও পরবর্তী তাদের এ ধরনের আক্রমণের জন্য হ্যাকারদের উৎসাহী করে তোলে।
বিভিন্ন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ ও লেখক মিশা গ্লেনির সাথে একাধিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকাতিকে একটি ডেটা পয়েন্ট হিসেবে একটি বৃহত্তর ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার ক্রাইম কতটা পরিশীলিত ও প্রচলিত হয়ে উঠেছে।
ট্রেলারে গ্লেনির দাবি, সমন্বিত সাইবার আক্রমণগুলো মানবতার জন্য একই ধরনের হুমকি তৈরি করে; যেমনটা করে থাকে মহামারি, গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিষয়গুলো।
বলে রাখা ভাল, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া রিজার্ভের অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে সেগুলো ব্যয় করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক (হিসাব ও বাজেট) জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরসিবিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ও শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাঠানো আরও ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে। গেল ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে চুরি হওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারের জন্য মামলা করে।
