ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: বন্দুক হামলা ও এর সহিংসতা থামছেই না যুক্তরাষ্ট্রে। প্রায় দিনেই গুলি করে মানুষ হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে এক ব্যক্তি গুলি করে তার সাবেক স্ত্রীসহ ছয়জনকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর এএফপির।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতেই বিবৃতি দিয়েছেন জো বাইডেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘চলতি বছরে মাত্র ৪৮ দিন পার করেছি আমরা। এরই মধ্যে ৭৩ জন গুলিতে মারা গেছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। যথেষ্ট হয়েছে। বন্দুক সহিংসতা মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটা থামাতে কংগ্রেসকে এখনই কাজ করতে হবে।’
গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক সপ্তাহের কম সময়ে দুটি মারাত্মক গণগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার উল্লেখ করে জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের কমনসেন্স দরকার। এখনই বন্দুক আইন সংস্কার করা প্রয়োজন।’
জো বাইডেন অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর জাতীয় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে কংগ্রেসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ১৯৯৪-২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটি ফের পুনর্বহাল করতে চান জো বাইডেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। সংসদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
এ দিকে, গত সোমবারেও (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এ ঘটনার তিন দিন পর মিসিসিপিতে গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটল।
২০২৩ সালের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলা হয়েছে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৪০টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় অন্তত ৪৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক মৃত্যু হত্যা, দুর্ঘটনা ও আত্মরক্ষার সাথে সম্পর্কিত ও অর্ধেক আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকের মধ্যে বন্দুক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড ২০২০ সালে। মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য মতে, ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত বা গুলিতে হওয়া ক্ষতের কারণে মোট ৪৫ হাজার ২২২ জন মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে যেমন বন্দুক সহিংসতা আছে, তেমনি আছে হত্যা, আত্মহত্যাও।