রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি বৃদ্ধির বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে

শনিবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র: যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ গাজায় শুরু হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) প্রথম দফায় জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ‘কেবল শুরু’।’

মূলত কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে সেই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের রূপরেখা তৈরির বিষয়ে নতুনভাবে কাজ করার সময় এসেছে।’

এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে।’

এ সময় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে কয়েক দিন মেয়াদি এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময় আমি আমার দলের সাথে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবল শুরু। তবে, এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালভাবেই হয়েছে।’

এ দিকে, যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলের নাগরিক, থাইল্যান্ডের দশ নাগরিক ও একজন ফিলিপাইনের। ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে। চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চার দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তা-ও মানা হচ্ছে।

গেল ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি, তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাতে থাকে।

গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলে হামাসের হামলায়ও মারা যায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি।