ঢাকা: ১২ দলীয় জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেছে জোটের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টি (জাফর)। একই সঙ্গে ১২ দলীয় জোট বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যানের খিলগাঁও কার্যালয়ে দলটির নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ১২ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেলেও বিএনপির নেতৃত্বে আগামী দিনে সব আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয় পার্টি (জাফর) অংশীজন হিসেবে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম জোরদার করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক সাংসদ আহসান হাবীব লিংকন, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সাংসদ নোয়াব আলী আব্বাস খান, সাবেক সাংসদ হোসনে আরা আহসান, সেলিম মাস্টার, মোস্তফা হায়দার জুবায়ের, রুহুল আমিন, শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীম, কাজী মো. নজরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মিয়া, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক লোকমান পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, যুব সংহতির আহ্বায়ক রইস উদ্দিন, সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
এ বিষয়ে আহসান হাবিব লিংকন বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ১২ দলীয় জোটের কিছু নামসর্বস্ব নেতার কার্যকলাপ নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাফর) নেতৃবৃন্দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার পরিপেক্ষিতে আজ শনিবার (১ মার্চ) খিলগাঁওয়ে আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সাংসদসহ নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ।’
‘এতে সিদ্ধান্ত হয় আজকে থেকে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট থেকে জাতীয় পার্টি (জাফর) বেরিয়ে এককভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। একই সাথে বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করার জন্য মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর) রাজপথে লড়াই অব্যাহত রাখবে। আজ থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ দলীয় জোটের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিলাম।’
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, শনিবার অনুষ্ঠিত দলের জরুরি সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) নেতৃবৃন্দ ১২ দলীয় জোটের দীর্ঘ দিনের কার্যকলাপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে জোটের কয়েকজন নামসর্বস্ব নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাফর) নেতৃবৃন্দরা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় নেতারা দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে ১২ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তারপর সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ দলীয় জোট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।