রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

১৫ পুকুরসহ শত একর খাস জমি উদ্ধার করল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

বৃহস্পতিবার, মে ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির উপকূলীয় উত্তর কাট্টলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে ১৫ টি পুকুরসহ প্রায় ১০০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

উত্তর কাট্টলী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ১৫টি পুকুরসহ প্রায় ১০০ একর সরকারি খাস জায়গা একটি চক্র অনেক বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করে আসছিল। সম্প্রতি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নজরে বিশাল এ খাস জায়গার বেহাত হওয়ার চিত্র ধরা পড়ে। পরক্ষণেই তিনি কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সরকারি খাস জমিসহ পুকুরগুলো উদ্ধার করার জন্যে নির্দেশনা দেন। তারই ফলে এ অভিযানের মাধ্যমে ১৫টি পুকুরসহ ১০০ একর খাস জমি উদ্ধার করা হল।

সরকারি এসব খাস জমির বাজার মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন উমর ফারুক।

তিনি বলেন, ‘অভিযানের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন বেহাত হয়ে যাওয়া প্রায় ১০০ একর জমি উদ্ধার করেছি। একটি চক্র সরকারি এ জায়গাটি বহু বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। অভিযানে প্রায় ছোট বড় ৩০টির মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। দশটি সরকারি সাইনবোর্ড নির্দেশনাসহ টানানো হয়েছে; যাতে করে অবৈধ অনুপ্রবেশ না হয়।

আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, এর আগে সীতাকুণ্ডে প্রায় ১৯৪ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ১৫টি পুকুরসহ প্রায় ১০০ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছি। অনেক বছর ধরে একটি চক্র এ জায়গাটি অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে ভোগ করে আসছিল। আজ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সম্পূর্ণ জায়গাটি সরকারের দখলে নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলার বেদখল হওয়া সরকারি খাস জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, মেরিন ড্রাইভের পাশে এ উদ্ধারকৃত জমিসহ প্রায় ৭৫০ একর জমি নিয়ে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, সংরক্ষিত বন, সাইক্লিং ট্র্যাক, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে।

জেলার প্রশাসক বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া জায়গাটিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞাসহ দশটি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। এরপরেও যদি অবৈধভাবে কেউ এ জায়গায় প্রবেশ বা দখল করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’