সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

১৭ নভেম্বর নিউইয়র্কে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস’-এর প্রথম আসর

শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশী খাদ্য ও সংস্কৃতিকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে আগামী ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস’-এর প্রথম আসর। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সিটির কুইন্সের একটি রেস্টুরেন্টে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন আয়োজকরা। ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও খলিল বিরিয়ানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খলিলুর রহমান, অ্যাওয়ার্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এন মজুমদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে খলিলুর রহমান বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের ‘টেরেস অন দ্য পার্ক’0-এ আগামী ১৭ নভেম্বর ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’-এর জমকালো ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান হবে। প্ল্যাটফর্মটি পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় খাদ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাবে। তবে, এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের খাদ্যকে পৃথিবীর দরবারে তুলে ধরা। এর মাধ্যমে দেশের আকর্ষণীয় ও মুখরোচক সব খাদ্য ও খাদ্যের সংস্কৃতি পৃথিবীব্যাপী পরিচিত করাতে চাই। এছাড়া, কালিনারি বা রন্ধন শিল্পের সম্ভবনা তুলে ধরে দেশের নয়া প্রজন্মকেও এ পেশায় আগ্রহী করতে চাই।’

আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এ শেফ আরো বলেন, ‘মূলত ব্রিটিশ কারী অ্যাওয়ার্ডের আদলে আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে। তবে, সব দেশের অংশগ্রহণকারীর জন্য আয়োজনটি উন্মুক্ত থাকবে।’

এনামুল হক বলেন, ‘ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে লাইফ টইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, রেস্টুরেন্ট অফ দা ইয়ার, এক্সিকিউটিভ শেফ অফ দা ইয়ার, শেফ অফ দা ইয়ার, ফুড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ দ্যা ইয়ার ও হোম কুক অফ দা ইয়ার।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোমকুক অব দ্যা ইয়ার পুরস্কার নারীদের কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেবে।’

এনামুল হক জানান, এ আয়োজনের জুরি বোর্ডে থাকবেন পৃথিবীখ্যাত মাস্টার শেফ ও কালিনারি বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের মূলধারার আয়োজন। সিনেটর থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহীদের আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’-এর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এন মজুমদার বলেন, ‘খাদ্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশী খাদ্য অনন্য। তবে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের খাদ্যের মত সেভাবে পরিচিতি পায় নি।’

বাংলাদেশি এ আয়োজনের বিভিন্ন আইনগত ব্যাপার দেখাশোনা করা হবে বলে তিনি জানান।।

বলে রাখা ভাল, অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসাবে রয়েছে শেফ’স ফেডারেশন অব বাংলাদেশ (সিবিএফ) ও খলিল ফুড।