সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

২০৩৫ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
শেখ হাসিনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’ আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘পেট্রোবাংলার অধীন রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানী লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত পৃথিবীর চলমান অধিকতর গবেষণাগুলোর ফলাফল ও গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহরে লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। আশা করা যায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘টেকসই জ্বালানি হিসাবে হাইড্রোজেন উৎপাদনের নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নিয়ে চলমান গবেষণার ফলাফল ও উন্নত পৃথিবীবে গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) অধীনে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) একটি সেল গঠন করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি এ বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সরকারি দলের অপর সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আট লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী- এ পাঁচটি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। অর্থ্যাৎ, এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ নেই।’

তিনি বলেন, ‘ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নয় লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউজ ছাড়াও আমরা এক লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিই। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমুল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেয়ার লক্ষ্যে পুরো দেশে ছয় হাজার ৯৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার দাম তিন হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।’

সরকারি দলের সদস্য এসএম আতাউল হকের প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থ বছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে নয় দশমিক ১২ গুণ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সরকারি দলের সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধনী, গরীব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা ও বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চিয়তা দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে অধঃস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।