ভার্জিনিয়া: শ্রদ্ধা ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পালিত হচ্ছে প্রায় ২৫০ বছরের নানা যুদ্ধে শহীদ মার্কিন সেনাদের স্মরণে উৎসর্গিত রাষ্ট্রীয় দিবস ‘মেমোরিয়াল ডে’। প্রতি বছর মে মাসের শেষ সোমবার পালিত এ দিবসে ১৭৭৫ সাল থেকে বিভিন্ন যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া সেনাদের প্রতি সম্মান জানায় জাতি। এবারও দিনটিকে ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেটারিতে মূল কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
আগামীকাল সোমবার (২৬ মে) হোয়াইট হাউসের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শহীদ সৈনিকদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এর আগে নিউইয়র্কের কুইন্সে ‘ভিয়েতনাম ভেটারান্স মেমোরিয়াল পার্ক’-এ অনুষ্ঠিত হয় একটি সম্মাননা সমাবেশ। স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভিয়েতনাম, কোরিয়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জীবিত সাবেক সৈনিকদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননা পান ৯৫ বছর বয়সী সার্জেন্ট কোরিনে অ্যালপার্ট (যিনি আসছে ৪ জুলাই পালন করবেন তার জন্মশতবর্ষ), ৮০ বছর বয়সী থমাস বুলেরো এবং ৭৭ বছর বয়সী পিএফসি ইমেরি এ পেরি। পাশাপাশি মানবতার সেবায় অবদানের জন্য সম্মাননা পান সহকারী ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফেলিসিয়া এস. থমাসকে।
সম্মাননা নিতে এসে প্রবীণ সৈনিকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাকি জীবন শান্তি ও সম্মান নিয়ে অতিবাহিত করার প্রত্যাশার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে একটি স্মারক মিনারে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আয়োজকরা। এতে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলম্যান রবার্ট হোল্ডেন, কমিউনিটি বোর্ডের সদস্য ওসমান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর সিকদার লোটন।
১৭৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ ৪ হাজার ৪৪৭ জন মার্কিন সেনা। এর মধ্যে কেবল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৭৮ জন।
প্রথম বারের মত ১৮৬৮ সালে ছুটির দিন হিসেবে পালন শুরু হয় ‘মেমোরিয়াল ডে’, যার পূর্বনাম ছিল ‘ডেকোরেশন ডে’। এ দিনটি এখন কেবল সামরিক ইতিহাস নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আত্মপরিচয়, ত্যাগ ও মূল্যবোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।