২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনকে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেছিলেন। ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত চেয়ে আপিল শুনানি শেষ হয়।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
বৃহস্পতিবার ১৭ বছরের আইনি লড়াই শেষে চাকরি ফেরত পেলেন ২৭তম বিসিএসের এসব নিয়োগবঞ্চিতরা। আর তাই রায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি নিয়ে একে একে বের হন দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে। অথচ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে কেউই ভাবেননি ফের বিসিএস ক্যাডারে জয়েন করতে পারবেন তারা।
গত বছরের ৭ নভেম্বর ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিল শুনবেন বলে আদেশে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আলাদা আলাদা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ওই বিসিএসে প্রথম বারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন আলাদা আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, ২০০৭ সালে ২৭তম বিসিএসে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বিভিন্ন ক্যাডারের এ ১ হাজার ১৩৭ জন। এরপর ওয়ান ইলেভেনে তাদের সেই নিয়োগ চুড়ান্ত না করে, আইন বহির্ভূতভাবে তাদের দ্বিতীয় ভাইভায় ডাকা হয়। শুরু হয় আইনি লড়াই। হাইকোর্টের একবেঞ্চ ১ হাজার ১৩৭ জনের নিয়োগ বৈধ বললেও আরেক বেঞ্চ দ্বিতীয় ভাইভাকে বৈধতা দেন। কিন্ত আপিল বিভাগও ওইসময় ১ হাজার ১৩৭ জনের নিয়োগ বাতিল করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর এ নিয়োগ বঞ্চিতরা ফের রিভিউ করেন সর্বোচ্চ আদালতে। যার চূড়ান্ত রায়ে সকলকেই চাকরি ফের দেয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।