ঢাকা: নাটকের সংগঠন লোক নাট্যদলের সিনিয়র সদস্য, মঞ্চের প্রতিভাবান অভিনেতা, নির্দেশক, সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক জাহিদুর রহমান পিপলু গেল ১৮ নভেম্বর দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৫৯ বছর বয়সে মারা যান।
বিশিষ্ট এই মঞ্চাভিনেতা ও নাট্যান্দোলনের কর্মী জাহিদুর রহমান পিপলুর স্মৃতি’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লোক নাট্যদল স্মরণসভার আয়োজন করেছে।
বেইলি রোডের মহিলার সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তননে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এ স্মারণসভা হবে।
স্মরণসভায় লোক নাট্যদলের বর্তমান ও পুরনো সদস্য, মরহুমের বন্ধু বান্ধব, বিভিন্ন নাট্যদলের সহযোদ্ধা নাট্যকর্মী, লোক নাট্যদলের শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বলে রাখা ভাল, জাহিদুর রহমান পিপলু ছিলেন একাধারে একজন অভিনেতা, নির্দেশক, মঞ্চ পরিকল্পক, সংগঠক ও সংগীত শিল্পী। তার জন্ম ১৯৬৫ সালে ঢাকায়। ১৯৮৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে লোক নাট্যদলের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি লোক নাট্যদলের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পিপলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে মাষ্টার্স ডিগ্রী করেছেন। তিনি পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নাট্যতথ্য ব্যাংকের সচিব ছিলেন। লোক নাট্যদলের নির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের প্রায় সব প্রযোজনাতেই অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সোনাই মাধব, কঞ্জুস, পদ্মা নদীর মাঝি, তপস্বী ও তরঙ্গিনী, রথযাত্রা, হেলেন, বিধি ও ব্যতিক্রম, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, টাপুর টুপুর, নির্মাণ, নির্মূল, মহাপ্রয়াণ ও বৈকুন্ঠের খাতা অন্যতম। এসব নাটকে তিনি এ পর্যন্ত সহস্রাধিক মঞ্চায়নে অভিনয় করেছেন। পদ্মা নদীর মাঝি নাটকে কষ্টিউম ডিজাইনসহ বেশ কয়েকটি নাটকের মঞ্চ ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশ নিতে ভারত, নেপাল, হংকং, মোনাকো ও চীন সফর করেছেন। তিনি সোনাই মাধব এর প্রথম মঞ্চ ব্যাবস্থাপক।