মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

শিরোনাম

৩৬ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের

সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

 

নিউজ ডেস্ক: নতুন করে ৩৬টি দেশকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে রবিবার, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত একটি গোপন স্মারকে সই করেছেন স্টেইট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও। বিশ্বজুড়ে একটি ব্যাপক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগের ১২টি দেশের পর, এবার আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের অ্যামেরিকা প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে স্টেইট ডিপার্টমেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, স্টেইট ডিপার্টমেন্টের একটি গোপন স্মারকে এই পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, যেখানে সই করেছেন সেক্রেটারি অফ স্টেইট মার্কো রুবিও।

৩৬টি দেশের মধ্যে ২৫টি আফ্রিকান দেশসহ মধ্য এশিয়া, ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া, জিবুতি, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, কিরগিজস্তান ও ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম উঠে এসেছে।

সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা নতুন ৩৬টি দেশ

১. অ্যাঙ্গোলা, ২. অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, ৩. বেনিন, ৪. ভুটান, ৫. বুর্কিনা ফাসো, ৬. কাবো ভার্দে, ৭. ক্যাম্বোডিয়া, ৮. ক্যামেরুন, ৯. কোট ডি’আইভরি, ১০. ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ১১. জিবুতি, ১২. ডোমিনিকা, ১৩. ইথিওপিয়া, ১৪. ইজিপ্ট, ১৫. গ্যাবন, ১৬. গাম্বিয়া, ১৭. ঘানা, ১৮. কিরগিজস্তান, ১৯. লাইবেরিয়া, ২০. মালাউই, ২১. মৌরিতানিয়া, ২২. নাইজার, ২৩. নাইজেরিয়া, ২৪. সেইন্ট কিটস এবং নেভিস, ২৫. সেইন্ট লুসিয়া, ২৬. সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, ২৭. সেনেগাল, ২৮. সাউথ সুদান, ২৯. সিরিয়া, ৩০. তানজানিয়া, ৩১. টোঙ্গা, ৩২. টুভালু, ৩৩. উগান্ডা, ৩৪. ভানুয়াতু, ৩৫. জাম্বিয়া এবং ৩৬. জিম্বাবুয়ে।

প্রস্তাবিত স্মারক অনুযায়ী, এই দেশগুলোকে নির্ধারিত কিছু মানদণ্ড পূরণের জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হবে। এই মানদণ্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্যতা ও ভিসা সংক্রান্ত নিয়মাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করা। যদি কোনো দেশ দুই মাসের মধ্যে উল্লিখিত মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের নাগরিকদের জন্য সম্পূর্ণ বা আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ারও কথা বলা হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে স্মারকে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিচয়পত্র তৈরিতে ব্যর্থতা, নাগরিক রেকর্ড বা সিভিল রেকর্ডে ব্যাপক জালিয়াতি, অ্যামেরিকার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর অবৈধভাবে অবস্থান করা এবং নিজ দেশেরনাগরিকদের অ্যামেরিকা থেকে বিতাড়ন করার প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা।

এই পদক্ষেপটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির একটি বড় সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞায় ৭টি দেশের ওপর আংশিক বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়। প্রস্তাবিত এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

নিষেধাজ্ঞার ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা তাদের।