ঢাকা: ঢালিউড সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার ৭৯তম জন্মদিন শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)। বিশেষ এ দিনে তাই ভক্তদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি।
১৯৪৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে সোহেল রানা ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাসস্থান বরিশাল জেলায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন সোহেল রানা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ক্যারিয়ার গড়েন চলচ্চিত্রাঙ্গনে। তখন পারিবারিক নাম মাসুদ রানা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘সোহেল রানা’ নামে।
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। এটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।
১৯৭২ সালে ‘মাসুদ পারভেজ’ নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন এ অভিনেতা। ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।
অভিনয় ক্যারিয়ারে ‘এপার ওপার’, ‘দস্যু বনহুর’, ‘জীবন নৌকা’সহ প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা। তবে বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে তিনি। দেশ ও সমাজের সেবা করতে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ গঠন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও পডকাস্টে সময় দিচ্ছেন সোহেল রানা। আজ রাত আটটায় আইজ অন ফেসবুক পেজ ও আইজ অন ইউটিউব চ্যানেলে অভিনেতার প্রথম পডকাস্ট ‘আমি সোহেল রানা’র টিজার উন্মুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। খুব শিগগিরই শুরু হওয়া এ পডকাস্টে ফেলে আসা জীবনের নানান গল্প শোনাবেন তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করা কিংবদন্তি এ তারকা।
এ প্রসঙ্গে সোহেল রানার কাছে কিছু জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের কথা বলবো। অতীতের স্মৃতিচারণ করতে আনন্দ লাগে। জীবনে কিছু স্মৃতি যেমন সুখের রয়েছে আবার কিছু স্মৃতিতে জড়িয়ে রয়েছে কষ্টও।’