মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৭ অক্টোবরের ঘটনায় হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ গঠন

বুধবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
হামাসের নতুন নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার পরিকল্পনা, সমর্থন ও অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সংবাদ রয়টার্সের।

শীর্ষ নেতাদের মধ্যে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছাড়াও আরো কমপক্ষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। হামাসের ওই হামলায় ৪০ জনেরও বেশি মার্কিনীসহ এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হন।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার প্রতিশোধে গাজায় চালানো ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বিবৃতিতে বলেন, ‘হামাসের এ শীর্ষ নেতারা ইরান সরকারের অস্ত্র, সমর্থন ও অর্থায়নে এবং হিজবুল্লাহর সহযোগিতায় ইসরাইলকে ধ্বংস করা এবং বেসামরিক লোকজনকে খুনে হামাসের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

অভিযুক্ত হামাসের ছয়জনের মধ্যে তিনজন মৃত। যে তিন নেতা জীবিত আছেন, তাদের মধ্যে একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। অপর দুইজন হলেন খালেদ মেশাল ও আলি বাকারা। হামাসের প্রধান সিনওয়ার গাজায় আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, খালেদ মেশাল দোহায় থাকেন ও আলি বারাকা লেবাননভিত্তিক হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা।

হামাসের যে তিন নেতা মারা গেছেন, তারা হলেন হামাসের প্রাক্তন নেতা ইসমাইল হানিয়া। যাকে জুলাই মাসে ইরানের তেহরানে খুন করা হয়েছিল। সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মাদ দেইফ, যাকে ইসরাইল জুলাইয়ের বিমান হামলায় খুন করেছে বলে জানিয়েছে ও আরেকজন মারওয়ান ইসা। ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার যাকে ইসরাইল বলেছে মার্চের হামলায় খুন করা হয়েছে।

এ দিকে, হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইরান ইসরাইলকে দায়ী করলেও ইসরাইল তার দায় স্বীকার করেনি।