রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে দুই দিনের উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র উৎসব অনুষ্ঠিত

শুক্রবার, মে ১২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুই দিনের উত্তর অ্যামেরিকা রবীন্দ্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ মে) উৎসবের শেষ দিন সকাল থেকেই দর্শকরা যোগ দেন জামাইকার পারফরমিং আর্টস সেন্টারে। উৎসবের উদ্বোধন করেন সঙ্গীতজ্ঞ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আটর্সের (বিপা) ক্ষুদে শিল্পীদের ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তাসের দেশ মঞ্চায়নে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘নাড়ি থেকে যে বাঙালি বিচ্ছিন্ন হয়নি, এর প্রমাণ নতুন প্রজন্মের এ পরিশীলিত উপস্থাপনা।’

উৎসবে একের পর এক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন দর্শকরা। অধিকাংশ সময়েই জামাইকা পার্ফর্মিং আর্ট সেন্টারের মিলনায়তনে তিল ধরার ঠাই ছিল না। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তৃতা করেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্সাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম ও ভারতের কনসাল জেনারেল রণধীর জয়সুয়াল। যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গ সম্মেলনখ্যাত ভারতীয় বাঙালিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বঙ্গ সংস্কৃতি সংঘ বা কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠান বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা নূরুন নবী, ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার, ভারতীয় লেখক আলোলিকা মুখোপাধ্যায়, ভারতের গীতিকার চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। এছাড়াও, ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেন, জার্মানী, কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত: ২৫টি অঙ্গরাজ্য থেকে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাকুশলী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা অংশ নেন। বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের অন্তত: ১৫টি সংগঠন উৎসবে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভাষাভাষী বিদেশি সংগঠনও পারফর্ম করেন।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব আঁকা ছবিও প্রদর্শন করা হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় রবি ঠাকুরের একটি ভাস্কর্য। নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ তর্কে-বিতর্কে ও বিদেশিদের চোখে রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক তিনটি সেমিনারসহ ‘রক্ত করবী’, ‘ভানু সিংহের পদাবলী’ গীতি নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি, শ্রেষ্ঠ চরিত্রগুলো নিয়ে প্রীতি বিতর্ক, রবি ঠাকুরের জীবনে নারীর ভূমিকা শীর্ষক দুটি অনুষ্ঠান ‘ওরা সন্ধ্যার মেঘমালা’ ও ‘কার মিলন চাও হে “ দর্শকরা উপভোগ করেন।

একক রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। মন্ত্রমুগ্ধের মত হাজারো দর্শক শুনেছেন রবীন্দ্রনাথের প্রচলিত ও অপরচিত গান। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা গানের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলেছেন রবীন্দ্র রচনায় পূর্ব বাংলার প্রভাব নিয়ে। পূর্ব বাংলায় অবস্থানের আগে রবীন্দ্রনাথ ভক্তির গানই বেশি রচনা করেছেন উল্লেখ করে রবীন্দ্র রচনায় প্রকৃতির উপাদানের বাঁক পথকে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

উৎসবের আহ্বায়ক হাসানুজ্জমান সাকী বলেন, ‘সকলের সমর্থন না পেলে দূর প্রবাসে এমন বড় অনুষ্ঠান সফল করা সম্ভব হত না।’