সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে শায়খ আব্দুল মতীনের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

শুক্রবার, জুন ৩০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: সিলেটের নিভৃতচারী আলেমে দ্বীন, কোম্পানীগঞ্জের জামেয়া মুশাহিদিয়া খাগাইল মাদরাসার সাবেক নাজিমে তালিমাত, মাওলানা শায়েখ আব্দুল মতিন (রহ:) নিরবে নিভৃতে জীবনভর দ্বীন ইসলামের খেদমত করে গেছেন। ইলমে ওহীর আলো ছড়িয়ে দিতে পুরো জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহর পথে। তিনি সমাজবিরোধী কার্যকলাপরোধে যেমন সোচ্চার ছিলেন, পরোপকার ও মানবতার হিতাকাঙ্খী হিসেবে তেমনি নিবেদিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি হেরার রাজতোরণের স্বপ্নে আলোকিত একজন প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর ও শালিসি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।’

গেল ১৫ জুন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশন অফ গ্রেটার জৈন্তা নিউইয়র্ক এ কর্মসূচি আয়োজন করে। সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামীল আনছারীর পরিচালনায় শুরুতে কালামে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন ইস্ট এলমাস্ট মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও খতীব ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসীন।

মরহুমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ইনকের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, আস সাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম রফিক আহমদ রেফাহী, বায়তুশ শরফ মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাহমুদ জাকারিয়া, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম, আন নূর কালচারাল সেন্টারের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ ইসমাইল, রাহমানিয়া ট্রাভেলসের সত্তাধিকারী কুতুবউদ্দিন মাহমুদ, আই টিভির সিইও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, টাইম টিভির পরিচালক সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, টাইম টিভির হেড অব দ্যা নিউজ ইকবাল মাহমুদ, সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু, জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ফয়েজ আহমদ, দারুল আহনাফ নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রশীদ জামীল, মাওলানা হামিদুর রহমান আশরাফ, আন নূর কালচারাল সেন্টারের ইমাম মুজিবুর রহমান, জালালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক আহমদ ও মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে রশীদ আহমদ।

শায়খের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন আস সাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম রফিক আহমদ রেফাহী।

সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের ইমাম আতাউর রহমান জালালাবাদী, মুনা জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সেক্রেটারী ফখরুল ইসলাম মাসুম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সহ-সভাপতি জোসেফ চৌধুরী, সাবেক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক শামীম আহমদ মনীর, কবি ও আবদুন নূর, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মীর্জা আজম, ফাউন্ডেশন অফ গ্রেটার জৈন্তার উপদেষ্টা আব্দুল কাদির, আহমদ জারীর মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

বলে রাখা ভাল, শায়খ আব্দুল মতীন গেল ১ জুন রাত নয়টায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি ১৯৩৮ সালের ২ মে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামে জন্ম নেন। ১৯৭২ সালে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রা.) তত্ত্বাবধানে দারুল উলুম কানাইঘাট থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করে পরের বছরই কোম্পানীগঞ্জের খাগাইল মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি খাগাইল মাদরাসার দীর্ঘ ৪৪ বছরের শিক্ষক ও দীর্ঘকালীন নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) ও মুহাদ্দিসের দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তিনি ‘বড় মেছাব’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার অসংখ্য ছাত্র আজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদীস ও প্রিন্সিপালসহ গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত পালন করছেন।

নিউইয়র্কে শায়খ আব্দুল মতীনের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: সিলেটের নিভৃতচারী আলেমে দ্বীন, কোম্পানীগঞ্জের জামেয়া মুশাহিদিয়া খাগাইল মাদরাসার সাবেক নাজিমে তালিমাত, মাওলানা শায়েখ আব্দুল মতিন (রহ:) নিরবে নিভৃতে জীবনভর দ্বীন ইসলামের খেদমত করে গেছেন। ইলমে ওহীর আলো ছড়িয়ে দিতে পুরো জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহর পথে। তিনি সমাজবিরোধী কার্যকলাপরোধে যেমন সোচ্চার ছিলেন, পরোপকার ও মানবতার হিতাকাঙ্খী হিসেবে তেমনি নিবেদিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি হেরার রাজতোরণের স্বপ্নে আলোকিত একজন প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর ও শালিসি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।’

গেল ১৫ জুন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশন অফ গ্রেটার জৈন্তা নিউইয়র্ক এ কর্মসূচি আয়োজন করে। সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জামীল আনছারীর পরিচালনায় শুরুতে কালামে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন ইস্ট এলমাস্ট মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও খতীব ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসীন।

মরহুমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ইনকের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, আস সাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম রফিক আহমদ রেফাহী, বায়তুশ শরফ মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাহমুদ জাকারিয়া, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম, আন নূর কালচারাল সেন্টারের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ ইসমাইল, রাহমানিয়া ট্রাভেলসের সত্তাধিকারী কুতুবউদ্দিন মাহমুদ, আই টিভির সিইও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, টাইম টিভির পরিচালক সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, টাইম টিভির হেড অব দ্যা নিউজ ইকবাল মাহমুদ, সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু, জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ফয়েজ আহমদ, দারুল আহনাফ নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রশীদ জামীল, মাওলানা হামিদুর রহমান আশরাফ, আন নূর কালচারাল সেন্টারের ইমাম মুজিবুর রহমান, জালালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ আমেরিকার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক আহমদ ও মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে রশীদ আহমদ।

শায়খের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন আস সাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম রফিক আহমদ রেফাহী।

সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের ইমাম আতাউর রহমান জালালাবাদী, মুনা জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের সেক্রেটারী ফখরুল ইসলাম মাসুম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সহ-সভাপতি জোসেফ চৌধুরী, সাবেক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক শামীম আহমদ মনীর, কবি ও আবদুন নূর, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মীর্জা আজম, ফাউন্ডেশন অফ গ্রেটার জৈন্তার উপদেষ্টা আব্দুল কাদির, আহমদ জারীর মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

বলে রাখা ভাল, শায়খ আব্দুল মতীন গেল ১ জুন রাত নয়টায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি ১৯৩৮ সালের ২ মে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামে জন্ম নেন। ১৯৭২ সালে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রা.) তত্ত্বাবধানে দারুল উলুম কানাইঘাট থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করে পরের বছরই কোম্পানীগঞ্জের খাগাইল মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি খাগাইল মাদরাসার দীর্ঘ ৪৪ বছরের শিক্ষক ও দীর্ঘকালীন নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) ও মুহাদ্দিসের দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তিনি ‘বড় মেছাব’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার অসংখ্য ছাত্র আজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের শায়খুল হাদীস ও প্রিন্সিপালসহ গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত পালন করছেন।