ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ইউরোপের দেশ সুইডেনে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বৈঠক শুরু হয়েছে জাতিসংঘে। পাকিস্তানের আহ্বানে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়। খবর ডয়েচে ভেলের।
সম্প্রতি সুইডেনে একটি মসজিদের সামনে কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় এক দল আন্দোলনকারী। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষেই এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড ঘটেছিল। সুইডেন প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই ঘটনা মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ উসকে দেয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে বিশেষ আলোচনার দাবি জানায় পাকিস্তান। অবশেষে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইসলামবিদ্বেষ, ঘৃণাত্মক বক্তব্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে তুলছে। সহিংসতা উসকে দিচ্ছে।’
বৈঠকে মুসলিম পৃথিবীর প্রতিনিধিরা বলেন, ‘কোরআন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত আবেগের বিষয়। কোরআন পোড়ানো মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচআরসির প্রধান ভলকার টার্ক বলেছেন, ‘মুসলিমবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ কিংবা খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনেভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন আহমাদি, ইয়াজেদি, বাহাইদের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও অন্যায়। এ সবকিছুই অন্যায় ও তা বন্ধ করা প্রয়োজন।’
আলোচনা, শিক্ষা ও ধর্মীয় আদানপ্রদানের মাধ্যমে হেট স্পিচ বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন টার্ক। এর জন্য সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তার মতে, ‘কোরআন পোড়ানোর ঘটনা সার্বিকভাবে বিদ্বেষ তৈরি করেছে, সহিংসতার জন্ম দিয়েছে ও মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।’