জেনেভা, সুইজারল্যান্ড: মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার ঘটনার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় দেশগুলো। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এমনটা জানিয়েছে তারা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ইউরোপের দেশ সুইডেনে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বৈঠক শুরু হয় জেনেভায়। পাকিস্তানের আহ্বানে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়। মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে পাকিস্তান এ বৈঠকের আহ্বান জানায়।
মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ বৈঠকে ওআইসি কোরআন পোড়ানোর ঘটনাটিকে ‘ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দা জানানোর প্রস্তাব উত্থাপন করে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ বিষয়টির নিন্দা না জানিয়ে উল্টো ঘোষণা দেয়, তারা প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেবে। পরে, বেশ কয়েকটি দেশের বাধার মুখে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) প্রস্তাবটি নিয়ে কোন ভোটাভুটি করা সম্ভব হয়নি। তবে, বুধবার (১২ জুলাই) বিষয়টির ওপর ভোটাভুটির কথা রয়েছে।
বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘কোরআন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত আবেগের বিষয়। কোরআন পোড়ানো মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচআরসির প্রধান ভলকার টার্ক বলেছেন, ‘মুসলিমবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ কিংবা খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনেভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন আহমাদি, ইয়াজেদি, বাহাইদের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও অন্যায়। এ সবকিছুই অন্যায় ও তা বন্ধ করা প্রয়োজন।’