ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সাংবিধানিক শাসনে না ফিরলে সহায়তা বন্ধেরও হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে এসব কথা জানায়। খবর আলজাজিরার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের সাথে ফোনকলে কথা বলেছেন। দেশটিতে সাংবিধানিক শাসন ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক চেষ্টা করবে বলে বাজুমকে আশ্বাস দিয়েছেন ব্লিনকেন।’
বাজুম প্রশাসনের প্রশংসা করেন ব্লিনকেন বলেন, ‘তিনি শুধু মাত্র নাইজারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে কাজ করেননি। বরং পশ্চিমা আফ্রিকা অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অঞ্চলটিতে আলকায়েদার স্থানীয় শাখা সাহাল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাজুম প্রশাসনের।’
বুধবার (২৬ জুলাই) প্রেসিডেন্টসিয়াল গার্ড বাজুমকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাহিনীটার প্রধান জেনারেল আবদুরাহমানে তচিয়ানি নিজেকে মধ্যবর্তী সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ১৯৬০ পর্যন্ত ফ্রান্সে উপনিবেশ ছিল। এরপর, ২০২১ সালে দেশটির ইতিহাসে প্রথম বারের মত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু, শপথ গ্রহণের আগেই ওই বছরের মার্চে বাজুমের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়। তচিয়ানির নেতৃত্বে তা ঠেকানো হয়।
২০১২ সাল থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রায় দুই হাজার সেনা রয়েছে।