ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বলেছেন, তিনি সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ‘শিগগির’ ভিয়েতনাম সফর করবেন। কারণ, ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলা করতে চাইছে।’
বাইডেন নিউ মেক্সিকোতে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করার সময় বলেছিলেন ‘আমি শিগগির ভিয়েতনামে যাচ্ছি। কারণ, ভিয়েতনাম আমাদের সম্পর্ক পরিবর্তন করতে ও অংশীদার হতে চায়।’
তিনি আরো বলেনে, ‘আমরা নিজেদেরকে এমন একটি পরিস্থিতিতে খুঁজে পাই, যেখানে বিশ্বজুড়ে এসব পরিবর্তনগুলো এমন সময়ে ঘটছে, যখন আমাদের কাছে একটি সুযোগ আছে। গতিশীল পরিবর্তন করার।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। উভয়ই এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে উদ্বেগ বিনিময় করে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ব্যাপক সামুদ্রিক দাবি নিয়ে চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের সংগে কয়েক বছর ধরে বিরোধ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম গেল এপ্রিল মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন জাপানে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতি করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, ‘ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিদ্বন্ধী সত্বেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার-চীনকে বিরক্ত করার বিষয়ে সতর্ক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে অনিচ্ছুক হতে পারে।’
জলসীমার উপর যুক্তরাষ্ট্রের কোন আঞ্চলিক দাবি নেই। কিন্তু, চীনকে ক্ষুব্ধ করে সেখানে নিজস্ব টহল চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বলেছে যে, ‘যার মাধ্যমে বছরে ট্রিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়, সেই সমুদ্রে ‘ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করতে হবে।’