বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ও ডেনিলওয়িক্সের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ও জন ড্যানিলওয়িক্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তারা ‘নিরপেক্ষ নন’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (১২ আগস্ট) ভিডিওসহ এক টুইটে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই জানা উচিত যে, এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন হল- তারা কি বিনা পয়সায় এটা করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের বেতন দিচ্ছে? আমরা জানি এটি ‘কেন’।’

একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক শাহরিয়ারের টুইট রিটুইট করে বলেছেন,‘পশ্চিমা সমাজে কোন কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না! মজুরি ঘণ্টাভিত্তিক পরিষেবার ভিত্তিতে!’

জন ড্যানিলওয়িক্স প্রতিমন্ত্রীর টুইটের জবাবে বলেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জানেন যে, এটি একটি মিথ্যা ও এটি দুঃখজনক যে, তিনি চরিত্র হননের সাথে জড়িত। আমি বুঝতে পারি ও দুঃখ প্রকাশ করছি যে, তিনি এই ধরনের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশ ও এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালবাসা আছে। আমি সেখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।’

শাহরিয়ার আলমের টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সাথে সাবেক কূটনীতিকদের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।

উইলিয়াম মিলাম ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং সাউথ এশিয়া পারসপেকটিভ ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন ডেনিলওয়িক্স ২০০৭ সাল এবং ২০০৮ সালে সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে দুই বার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও ম্যগাজিনটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারি নিউজ পোর্টাল জাস্টনিউজের সম্পাদকও। তাকে প্রায়শই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে দেখা যায় এবং পাঠকরা এই প্রশ্নগুলোকে বিএনপির পক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন হিসাবে দেখেন।

ভিডিও স্টোরিতে প্রশ্ন করা হয়, ‘কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা এমন একটি দলের পক্ষে ওকালতি করতে পারে, যেটি এখন পলাতক ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ‘হিংসাত্মক রাজনীতির প্রতীক’ হিসাবে চিহ্নিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে? জঙ্গিদের সাথে যোগসাজশ ও ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।’

এটি উইকিলিকসের পুরনো প্রতিবেদনগুলো ভাগ করেছে, যেখানে তারেক রহমান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের যোগাযোগ ফাঁস হয়েছিল।