বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটির মিলনমেলা

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ‘মিট এন্ড গ্রীট’ শীর্ষক ভিন্ন ধরনের পারিবারিক মিলনমেলা করল ‘বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি’। শনিবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ভ্যালী ইস্টিম স্টেট পার্কে কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, নতুন প্রজন্মের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা সহ সংগঠনের কর্মকর্তাদের পরিবার ও তাদের বন্ধুদের উপস্থিতিতে এ মিলনমেলা সম্পন্ন হয়। এটি ছিল এ সংগঠনের তৃতীয় বারের মিলনমেলা। মূলত কমিউনিটিতে মানবিক ও সামাজিক কাজে যারা সহযোগিতা করেন, তাদের পরিবারে সাথে এক জায়গায় নিজেদের মাঝে পরিচিত হওয়ার উদ্দেশ্যে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মহামারীর সময় হাজার হাজার মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে; যার জন্য ইউএস সিনেট মেজরিটির লিডার চ্যাক শুমার নিজ থেকে সংগঠনের সাথে উপস্থিত হয়ে আলোচনা করেছেন। গেল তিন বছর ধরে সংগঠনের বিভিন্ন সামাজিক ও কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য ফেডারেল, নিউ ইর্য়ক রাজ্যের গভর্নর, সিটির মেয়রসহ নির্বাচিত বহু প্রতিনিধি এই সংগঠনকে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন।’

মিলনমেলা উদ্বোধন করেন অ্যাসেম্বলি ওমেন জেনিফার রাজকুমার। তিনি সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমিন মেহেদী, সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিম খাঁনসহ সবার সামাজিক কাজের প্রশংসা করেন। এছাড়া, তিনি কমিউনিটিতে সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখায় বিশিষ্ট মর্টগেজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফাহিম জানকে প্রোক্লেমেশন ও সগঠনের কর্মকর্তাসহ উপদেষ্টাদের সাইটেশন দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মার্ক হোম কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হক। গেস্ট অফ অনার ছিলেন সিটির মেয়রের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা মীর বাশার, এটর্নি আফার বক্স, কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারপার্সন রেভন থ্রব, ভাইস চেয়ার বেলাল করীম, সিভি-৩ এর কো-চেয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুকিত চৌধুরী, মোহাম্মদ ফাহিম জান, সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী আজহারুল হক মিলন, সংগঠনের উপদেষ্টা আবু নাসের, আবদুল্লাহ আল মাহামুদ, আব্দুস সাত্তার খান ও আবুল কাশেম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সংগঠনের উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম ও মীর্জা মনিরুজাজামান, মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি সাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সহ সভাপতি মাকসুদ এইচ চৌধুরী, দি অপটিমিস্টের কর্মকর্তা শামিম আহমেদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশী লায়ন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, লায়ন্স আব্দুর রসিদ বাবু, প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট মাহাবুবার রহমান বকুল।

মিলনমেলায় সার্বিক দায়িত্বে আহ্বায়ক মীর্জা জামান বিটু, সদস্য সচিব ডিউক খান, প্রধান সমন্নয়কারী মিয়ান ওবাইদুর রহমান লিটন, সমন্নয়কারী আমিনুর রহমান রুবেল, মিলন মোল্লা, মাহতাব খান, পরিচালক বদরুল খান বাদল। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিয়ান ওবাইদুর রহমান, ফয়েজ উল্লাহ। বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন মীর জাকীর মনিরা খন্দকার, মামুন ও খালেদ আক্তার।

সাংকৃতিক পর্বের দায়িত্বে ছিলেন মিয়া, মো. দুলাল, সাহেদা হাই ও নার্গিস রহমান। গান করেন সেরা কন্ঠের কৃষ্ণা তিতি। রাফেল ড্র পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক শেখ আল আমিন, পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ, লাইভ খাবার পরিবেশন করেন সেলিম বারানী।

অনুষ্ঠানে খেলাধুলা পরিচালনা করেন একেএম রসিদ, মীর্জা জামান বিটু, আনাফ আলম, শেখ আল মামুন, নাজমুল খন্দকার। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন মোহাম্মদ আলী ও আমিন মেহেদী ও সেলিম খান।

র‌্যাফেল ড্রতে লটারিতে প্রথম পুরস্কার এক হাজার ক্যাশ ডলার জিতেন সাহেদা হাই। এটি স্পন্সর করেন মাহাফুজুল হক। দ্বিতীয় পুরস্কার গলার স্বর্ণের চেইন জিতেন কাজী জামান। স্পন্সর করেন বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি। আরো আটটি পুরস্কার স্পন্সর করেন কমিনিটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা।