সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রথম সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কোরীয় উপদ্বীপের কাছে তাদের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর এক দিন পর তারা এ মহড়া শুরু করল। খবর এএফপির।
ওয়াশিংটন সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র শক্তি ও পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষায় দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
গত মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পূর্বসুরির শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার সাথে বছরের পর বছরের কূটনৈতিক ব্যর্থতার পর তিনি এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জোটের কঠোর মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটাতে এ মহড়া শুরু করা হয়।’
এতে আরো বলা হয়, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে চার দিনের এ নৌ মহড়ায় ২০টিরও বেশি জাহাজ ও একটি রণতরি অংশ নেবে। এসব জাহাজের অংশগ্রহণে জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী মহড়া চালানো হবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তা কয়াক কওয়াং বিবৃতিতে বলেন, ‘এ মহড়ার মাধ্যমে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে আমাদের যৌথ অভিযান চালানোর সক্ষমতার আরো উন্নতি হবে।’
পরমাণু ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়া আরেকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর এক দিন পর এ মহড়া শুরু কর হল।