মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কানাডা ইস্যুতে নষ্ট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক

শনিবার, অক্টোবর ৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নয়াদিল্লী, ভারত: ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে সতর্ক করেছেন, ‘অটোয়া-দিল্লি কূটনৈতিক বিরোধের কারণে কিছু সময়ের জন্য ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তিনি তার টিমকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হল একটি গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত ও ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব। আর রাষ্ট্রদূত গারসেটি ভারতীয় জনগণ ও ভারত সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের একজন চ্যাম্পিয়ন। খবর পলিটিকোর।

অন্য দিকে, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রদূত গারসেটি ও মার্কিন মিশন ভারতের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত ও ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিদিন কাজ করছে।’

ভারতীয় গণমাধ্যম উইওনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কানাডা-ভারত কূটনৈতিক টানাপড়েনে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াইট হাউজ। জো বাইডেন প্রশাসন ব্যাপারটিকে শক্তভাবে নিতে চাইছে না। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা কানাডা ও ভারত উভয়কেই দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যাটি সমাধান করতে বলছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সম্প্রতি বলেছেন, ‘এই দুই দেশকে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলতে দিন।’

গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন কানাডাকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের অংশীদারদের সাথে আলোচনা করছে।’ এছাড়া, গেল ২৮ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেও আলোচনায় ভারত-কানাডার বিরোধের বিষয়টি উঠে আসে।

বলে রাখা ভাল, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার পেছনে নয়াদিল্লির হাত ছিল বলে সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ তোলার পর ভারত ও কানাডা সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের পর কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সর্বশেষ ভারত সরকার আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডাকে ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে বলেছে। অটোয়া এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে দিল্লির সম্পৃক্ততার কোন পূর্ণাঙ্গ প্রমাণ দিতে পারেনি। তারা ভারতের সাথে ব্যক্তিগত সংলাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেছে।