গাজা, ফিলিস্তিন: জাতিসংঘ বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ইসরাইলের ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় তিন লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পাঠানো বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দিনের শেষ নাগাদ গাজায় বাস্তুচ্যুতি মানুষের সংখ্যা ২৪ ঘন্টা আগে দেয়া পরিসংখ্যান থেকে আরো ৭৫ হাজার বেড়ে এই সংখ্যা তিন লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ২৩ লাখ লোকের ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এই মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।
ইসরাইলের বাহিনী বলেছে, ‘হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরাইলির মৃত্যু হয়েছে, দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।’
গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলের বিমান ও কামান হামলার অব্যাহত অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের দুই-তৃতীয়াংশ প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছে। আরো প্রায় ১৫ হাজার লোক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে গেছে, যখন এক লাখের বেশি গাজা শহরের আত্মীয়, প্রতিবেশী ও একটি গির্জা ও অন্যান্য সুবিধার দ্বারা আশ্রয় নিচ্ছে।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, শনিবারের (৭ অক্টোবর) হামলার আগে ছিটমহলের প্রায় তিন হাজার মানুষ এরইমধ্যে মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘বোমা হামলা গাজায় কমপক্ষে দুই হাজার ৫৪০টি আবাসন ইউনিট ধ্বংস করেছে বা বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে।’
সংস্থাটি বলেছে, ‘আরো ২২ হাজার ৮৫০টি আবাসন ইউনিট মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে।’
জাতিসংঘের সংস্থাটিও ইসরাইলের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, দশ লাখেরও বেশি লোকের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাগুলো বিমান হামলার শিকার হয়েছে। রাস্তায় কঠিন বর্জ্য জমেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।