ঢাকা: ‘দ্রুত পদত্যাগ করে দলনিরপেক্ষ সরকারের রুপরেখা নিয়ে আলোচনায় বসুন। গণদাবি উপেক্ষা করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ।’
শনিবার (৪ নভেম্বর) গণ মাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে পাঁচ দলীয় বাম জোটের নেতারা এ কথা বলেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি কমরেড এমএ সামাদ, জোটের শরীক দল বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মাওবাদী) সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের সমতা পার্টির সভাপতি কমরেড রমজান আলি।
বিবৃতিতে নেতারা দেশের বর্তমান সংঘাত-সংঘর্ষময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন পীড়ন, সভা সমাবেশে হামলা, গায়েবী মামলা, বিরোধী নেতাদের গণগ্রেফতারের ঘটনা সরকারের ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আচরণ আগামী দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনিশ্চিত করে তুলছে।’
নেতারা সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা নিয়ে আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান।
নেতারা আরো বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এ ধরনের বক্তব্য পরমত সহিষ্ণুতার গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্খা-মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি। সরকার প্রধান ও একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যাবশক।’
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরিণতি হবে ভয়াবহ। নেতারা দমন পীড়ন হামলা মামলা বন্ধ করে মির্জা ফকরুলসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।’
নেতারা পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি না মেনে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা গুলি করে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দ্রুত শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার-বিচার ও শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়সঙ্গত ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানানো হয়। নিহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানান।
‘বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ চরম বিপদে, আলু, পিয়াজসহ দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে।’
দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নেতারা।