ঢাকা: রাশিয়ান হাউসের সহায়তায় দাগেস্তান স্টেট পেডাগোজিকাল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশন গেল ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। ঢাবির উপাচার্য প্রফেসর আখতারুজ্জামান এটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এই কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষার পাশাপাশি রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়া দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষা ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কেন্দ্র শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।’
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভইচেনকভ বলেন, ‘১৯৭১ সালে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের শুরু থেকেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিল, তখন থেকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চিরন্তন পারস্পরিক বন্ধন ও সহানুভূতি রয়েছে। বর্তমানে শিল্প, চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা, শিক্ষাগত আদান-প্রদান, রাশিয়ান ভাষা শেখার জন্য সহায়তা প্রকল্প এবং আরো অনেক কিছু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মানবিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
ঢাকার রাশিয়ান হাউস ভাষা কোর্সে ভর্তির ক্ষমতা বাড়িয়ে রাশিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ দিচ্ছে। এই প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে নিতে, ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও ঢাকায় রাশিয়ান সেন্টার ফর ওপেন এডুকেশন, দাগেস্তান স্টেট পেডাগজিকাল ইউনিভার্সিটি, আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল।
রাশিয়ান ভাষা শেখা শুধুমাত্র ভাষা শিখতে সাহায্য করবে না, বরং রাশিয়ান সরকার প্রদত্ত বৃত্তি পেতে সাহায্য করবে, সেইসাথে রাশিয়ান সাহিত্য ও সংস্কৃতির গভীর উপলব্ধি দেবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নানা বিভাগে প্রচুর মেধাবী জনবল প্রয়োজন; যারা রাশিয়ান ভাষা জানেন, তাদের সেখানে কাজ করার বিশেষ সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণদের মেধা বিকাশের জন্য ঢাকায় রাশিয়ান হাউস শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানসহ সব কার্যক্রমে সব সময় সমর্থন দিয়েছে ও অব্যাহত রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর এবিএম রাজাউল করিম ফকির; সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রের খণ্ডকালীন শিক্ষক অধ্যাপক খালিদোভা রাশিদা ও নাদেঝদা আলিপুলাতোভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।