/ 
প্রিন্ট করুন
আটলান্টিক সিটি, নিউ জার্সি: প্রবাস জীবনে পাসপোর্ট ও ভিসা হালনাগাদ রাখা যে কতটা দরকার, তা ভুক্তভোগী মাত্রই ভালভাবে ওয়াকিবহাল। বিশেষ করে যে কোন জরুরি দরকারে তা যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কনস্যুলেট বা মিশনগুলোতে দৌড়ঝাঁপ করাও ঝামেলার ব্যাপার। আর এসব সেবা গ্রহণের সুযোগ যদি ‘বাড়ির কাছে’ পাওয়া যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আর এই সুযোগ করে দিতেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে আয়োজন করা হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার।
গেল ৮ নভেম্বর সকাল দশটায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির (বিএএসজে) উদ্যোগে আটলান্টিক সিটির ২৭০৯ ফেয়ারমাউনট এভিনিউস্থ ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার’-এ নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা দেয়া হয়।
নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর ইসরাত জাহান, প্রথম সচিব প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, পারসোনাল অফিসার মো. আবদুল আউয়াল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুমন চন্দ্র দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসাইন, অফিস স্টাফ শফিকুল ইসলাম এই সেবা দেন।
ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার আওতায় সাড়ে ৩০০ প্রবাসী বাংলাদেশি সহজেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট গ্রহণ ও পাসপোর্ট নবায়নসহ নানা সেবা গ্রহণের সুযোগ পান। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিরা তাদের পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিলসহ অন্য সেবা নেন।
প্রসূন কুমার চক্রবর্তী ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার আয়োজন করায় বিএএসজে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
বিএএসজের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম খোকা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি আব্দুর রফিক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান ও ভবিষ্যতেও তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকার আশা করেন। তারা এই কার্যক্রম সফল করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টারে সমবেত হতে থাকেন সেবা প্রত্যাশী প্রবাসীরা। বিএএসজের কর্মকর্তা মাসুদ চৌধুরী, গিয়াস উদদীন পাঠান, মো. শাহরিয়ার আহমেদ, মো. মনিরুজামান, মো. বেলাল হোসেন, শিপন সাখাওয়াত, মো. আইয়ুব বাবুল, রওশন উদদীন, সিরাজ উদদীন, আবদুল জব্বার, আবু নসর, বেলাল উদদীন, মো. ফারুক, আব্দুর রহিম, শাহজালাল, মো. রেজা সাদর সম্ভাষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঝামেলা ছাড়াই সেবা পেয়ে খুশি হন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিএএসজের এই ধরনের আয়োজনের জন্য সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান ও ভবিষ্যতেও এই ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন।
