ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
রিট শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘২০১৮ সালে সাংসদ প্রার্থী ছিলাম। রাতে ভোট হয়েছে।’
তখন আদালত বলেন, ‘রাতে যে ভোট হয়েছে, এ ব্যাপারে কি মামলা হয়েছে? কোন তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী আছে? এসব বক্তব্য পাবলিক প্লেসে দেবেন?
তখন ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘রাতে যে ভোট হয়েছে, সাক্ষী আমি ও ১৮ কোটি জনগণ।’
এর আগে বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গেল বুধবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। গেল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, মনোনয়ন পত্রের সাথে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।’
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া, হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।