ঢাকা: রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথম দিনেই ২৬ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৪২ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল ও গ্রহণের ব্যাপারে কমিশন আবেদন গ্রহণ শুরু করে ও আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকার নির্বচন ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত দশটি বুথের মাধ্যমে আপিল গ্রহণের প্রথম দিনের কার্যক্রম দেখেছেন।
কার্যক্রম পরিদর্শন করে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিশন আপিল শুনবে ও তারপর সিদ্ধান্ত দেবে।
আগামী ১০-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির সাবেক নেতা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর কেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এলেন- এ প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা তার বিষয় নয়।’
তবে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কেন ইসি শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ও ব্যবস্থা নেয় না- এই প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
এ নিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমার যতটুকু বলার ছিল বলেছি। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আপিল করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মনোনীত মাহী বি চৌধুরী (মুন্সীগঞ্জ-তিন), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. আখতারুজ্জামান (যশোর-এক), শফিকুল ইসলাম মধু (খুলনা-ছয়) ও এটিএম মাজহারুল ইসলাম (কুমিল্লা-দুই) ও তৃণমূল বিএনপির মনোনীত আব্দুর রব (সিলেট-দুই)।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পুরো দেশের ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু, গেল ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেন ও বাকি ৭৩১টি বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়ন পত্রের অধিকাংশই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেয়া এক শতাংশ ভোটারের সইয়ে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি ও দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ও রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল আটটা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন; যা কোন বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে।