শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

পেঁয়াজ সিন্ডিকেটে এ বছর সর্বোচ্চ ভোগান্তির শিকার ভোক্তারা/মূল্য কেজি ২০০ টাকা ছাড়াল

রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় মশলা রফতানির ওপর ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২০০-২২০ টাকা বা তার বেশি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা। এটি ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয়ের জীবনযাত্রার মধ্যে আরেকটি কষ্টকর পরিস্থিতি।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে ভারত।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ভারতে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা নয়া কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আচমকা মূল্য বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।’

তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি এরমধ্যে কার্যকর হয়েছে ও এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু, আচমকা মূল্য বাড়ানোর পেছনে বাজারের এক দল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।’

খুচরা বিক্রেতারা শনিবার (৯ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকায়, যা বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ১০৫-১২৫ টাকা এবং শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তা বেড়ে হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।

শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ‘ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গেল কয়েক দিন ধরে আচমকা বৃষ্টিও মূল্যে প্রভাব ফেলেছে।’

শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনায় শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০-২০০ টাকায়।

পাইকাররা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে জেলার পাইকারি বাজারে আচমকা মূল্য বেড়ে যায়।